॥ সাদ্দাম উদ্দিন (রাজ), নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি ॥
নরসিংদী সহ আশপাশের জেলাগুলোতে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে আসা হারুন ওরফে বাবুল (৩৫) নামে এক ভূয়া পুলিশকে আটক করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ।
জাানায় তার গায়ে পরিহিত পুলিশের পোশাকটি ঢাকার কল্যাণী মার্কেট থেকে কিনেছে। এ পোষাক পড়ে সে সাত মাস যাবত বিভিন্ন স্থানে প্রতারনা করে আসছেন এবং সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা লুট করার কথাও স্বীকার করেন।
শনিবার (২৯ জুন) সকাল ১১ টায় নরসিংদী পৌর শহরের জেলখানা মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ। তিনি জানান, আটককৃত ব্যক্তি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার বাগমারী গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। তিনি নিজেকে সাভারের আশুলিয়া হাইওয়ে পুলিশ উপপরিদর্শক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
জানা যায়, গত ৬ জুন বৃহস্পতিবার শহরের জেলখানা মোড়ে অবস্থিত হলি লাইফ হাসপাতালে এক নারীকে নিয়ে এসে প্রতারনা করে তার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় হারুন নামে ওই ভূয়া পুলিশ। মহিলার ওই ব্যাগের ভিতর নগদ ১৫ হাজার টাকা, ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও তার ব্যবহৃত একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ছিল।
পরে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা থেকে ছবি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটসহ এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন। শনিবার সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন রাজু তাঁর বাড়ি থেকে জেলখানার মোড়ের দিকে আসলে তিনি প্রতারক ও ভূয়া পুলিশ হারুনকে দেখতে পান। পরে তিনি সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের টিআই আবুল বাসার আকন্দ, সার্জেন্ট শামীম আহমেদ এবং এটিএসআই মোঃ মোস্তফা কামালকে জানালে তাদের সহায়তায় তাকে আটক করে হলি লাইফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চিহ্নিত করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে সে প্রতারনার কথা স্বীকার করে। সে জাানায় তার গায়ে পরিহিত পুলিশের পোশাকটি ঢাকার কল্যাণী মার্কেট থেকে কিনেছে। এ পোষাক পড়ে সে সাত মাস যাবত বিভিন্ন স্থানে প্রতারনা করে আসছেন এবং সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা লুট করার কথাও স্বীকার করেন।
এই সময় তার কাছ থেকে একটি লেজার লাইট একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন রাজু বলেন, আজকে জেলখানার মোড়ে তাকে দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে মোবাইলে থাকা ছবি দেখে নিশ্চিত হই। পরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। সে অনেক নিরীহ মানুষের টাকা পয়সা লুট করেছে। পরে তাকে নরসিংদী সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয় এবং আটকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।