॥সেলিম মাহমুদ, পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি ॥
আগামী ৮মে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, পাঁচজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (পুরুষ) ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোটের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে প্রচার প্রচারণায় ততই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থক কর্মীরা। তবে ভোটের মাঠে খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো এবং ফরিদ হাসান ওদুদ দুই হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তারা।বিশেষ করে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল সরাসরি ভোটের মাঠে খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর সমর্থনে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেওয়ায় খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে
জানা যায়, হেভিওয়েট দুইজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো পাঁচবারের মাছপাড়া ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আওয়ামী লীগের একজন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব হিসেবে তার সুপরিচিতি রয়েছে।
মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ার দখলে নিতে ধীরে ধীরে তার সরব গণসংযোগ, পথসভা, প্রচার-প্রচারণা ভোটারদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিশেষ করে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল সরাসরি ভোটের মাঠে খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর সমর্থনে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেওয়ায় খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে। ফলে প্রচার-প্রচারণা এবং সাংগঠনিক তৎপরতায় খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর মোটর সাইকেল প্রতীক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। পাংশা পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পথসভায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো নির্বাচনে তার বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদ হাসান ওদুদ ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারে তৃতীয়বারের মতো তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। তার প্রতীক আনারস। প্রচার-প্রচারণায় ২০১৪ ও ২০১৯ সালের প্রেক্ষাপট না থাকলেও তৃণমূলে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।
পাংশা পৌরসভা, হাবাসপুর, বাহাদুরপুর, যশাই ও বাবুপাড়া ইউপিতে তাদের ভোট ব্যাংক রয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। সমর্থিত লোকজনকে সাথে নিয়ে তিনি নির্বাচনী গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ার দখলে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
এছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পুরুষ) একেএম সাইফুল মোর্শেদ রিংকু (প্রতীক তালা), খান মোহাম্মদ ওবায়দুল হক (প্রতীক চশমা), জালাল উদ্দিন (প্রতীক উড়োজাহাজ), হোসেন সরদার (প্রতীক টিয়া পাখি) ও রফিকুল ইসলাম (প্রতীক টিউবয়েল) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসমা খাতুন (প্রতীক হাঁস), দিলরুবা পারভীন ইতি (প্রতীক ফুটবল) ও সাবরিন পারভীন শেলী (প্রতীক কলস) নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে জালাল উদ্দিন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান। দ্বিতীয়বারের মতো তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে একেএম সাইফুল মোর্শেদ রিংকু, জালাল উদ্দিন ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দিলরুবা পারভীন ইতি ও সাবরিন পারভীন শেলীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে রাজনৈতিক সচেতন মহলের লোকজন অভিমত ব্যক্ত করেন।