॥ বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় পশুর নদীতে সার বোঝাই একটি জাহজালাল এক্সপ্রেস-২ নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় বন্দরের হারবাড়িয়া এ দূর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটিতে ৫০০ মেট্রিকটন সার (এম ও পি) ছিল।দূর্ঘটনার সময় জাহাজটিতে থাকা ৯ জন নাবিক নদীতে ছিটকে পড়ে গেলে পরে তাদের কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসময় লাইটারটিতে থাকা ৯জন নাবিক নদীতে পড়ে যায়। পরে নদীতে ভাসতে থাকা এই ৯জনকে কোস্টগার্ড এসে উদ্ধার করে। দূর্ঘটনার পর বন্দরের নৌ চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া- ৯ এ অবস্থান করা লাইব্রেরিয়া পতাকাবাহী ‘এমভি ভিটা অলেম্পিক’ থেকে সার বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে আসছিলো লাইটার জাহাজ শাহজালাল এক্সপ্রেস-২।
পথিমধ্যে হারবাড়িয়া-৮ এ ক্লিংকার নিয়ে অবস্থান করা ‘সুপ্রিম ভ্যালর’ নামে বিদেশি একটি জাহাজটি টার্ন করার সময় তাতে ধাক্কা লাগলে শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ লাইটারটির ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে পড়ে। এসময় লাইটারটিতে থাকা ৯জন নাবিক নদীতে পড়ে যায়। পরে নদীতে ভাসতে থাকা এই ৯জনকে কোস্টগার্ড এসে উদ্ধার করে। দূর্ঘটনার পর বন্দরের নৌ চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ আরও বলেন, ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ শাহাজালাল এক্সপ্রেস-২ এর সার্ভে সনদ ও রেজিষ্ট্রেশন সব ঠিক আছে। দূর্ঘটনাস্থলে ডেপুটি হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল পৌঁছে সেখানে মার্কিন বয়া স্থাপন করেছে। একই সাাথে ঘটনার তদন্ত করছেন।
এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে লাইটার জাহাজটির মালিক পক্ষকে খবর দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এটি উঠাতে মালিক পক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ।