Sunday , 19 October 2025

চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অপহরণ ও পুলিশ সোপর্দ,  প্রতিবাদে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।

॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥

নো য়াখালী পৌরসভায় চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অপহরন ও পুলিশে সোপর্দ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

 

জসিম মিয়ার বিল্ডিংয়ে আটক রেখে দাবীকৃত চাঁদার জন্য লিয়ার ফোন থেকে তার পরিবারকে মুটোফোনে কল দেয়।  পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা লিয়াকে শরিরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যপুরি কুপিয়ে আহত করে। পরে নিজেদের রক্ষা করতে  মব সৃষ্টি করে  তাকে  পুলিশ এনে উল্টো মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সুধারাম মডেল থানার পুলিশের সোপর্দ করে।

‎‎রবিবার ( ১৯ অক্টোবর) নোয়াখালী প্রেসক্লাব সংলগ্ন দৈনিক নয়া পৃথিবীর সম্পাদকীয় কার্যালয় এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করেন নির্যাতিত লিয়ার পিতা মো কালন।

‎লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, তার ছেলে আহত নূর হোসেন রিয়াজ প্রকাশ লিয়া পৌরসভাধীন অনন্তপুর স্বর্ণকার পাড়া এলাকায় অপুর মৎস্য খামারে মাছের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী রহিম, মাইম, আলাউদ্দিনগং তার কাছে এক লক্ষ টাকা  দাবি করে। সন্ত্রাসীরা সবাই সৈরাচার আওয়ামীলীগের লোক। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা বিগত ১৩ অক্টোবর সোমবার মাইজদী বাজার আলামিন বিস্কুট ফ্যাক্টরি সামনে থেকে তাকে একাপেয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে  সিএনজি যোগে  জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যায়।

পরে তাকে স্বর্ণকার পাড়ার জসিম মিয়ার বিল্ডিংয়ে আটক রেখে দাবীকৃত চাঁদার জন্য লিয়ার ফোন থেকে তার পরিবারকে মুটোফোনে কল দেয়।  পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা লিয়াকে শরিরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যপুরি কুপিয়ে আহত করে। পরে নিজেদের রক্ষা করতে  মব সৃষ্টি করে  তাকে  পুলিশ এনে উল্টো মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সুধারাম মডেল থানার পুলিশের সোপর্দ করে।

‎সুধারাম থানার পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে। পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় তাকে জেলে হাজতে প্রেরণ করে। একে একে ১৩ টি মামলায় তাকে আসামি করা হয়। বর্তমানে সে নোয়াখালী কারাগারের জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

‎এ দিকে ভুক্তভোগীর পিতা কালন প্রতিকার চেয়ে বাদি হয়ে  নোয়াখালী সিনিয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলি আদালতে সিআর ১০৯৮/২৫. নং মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ওসি ডিবিকে মামলার তদন্তভার প্রদান করেন।

‎এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্ত লিয়ার পরিবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মাননীয়  বিজ্ঞ আদালতের কাছে লিয়ার মুত্তি দাবী করেন। তারা ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

‎সংবাদ সম্মেলনে আহত,  নির্যাতিত ও গ্রেফতারকৃত লিয়ার পিতা কালন,মা পুস্প বেগম,স্ত্রী তামান্না,দাদী নুরজাহান বেগম,বোন সাথী,মৌসুমী,ইয়াসমিন সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

প্রতিবন্ধী বৃদ্ধাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করল বেলকুচি থানা পুলিশ

॥ আশিকুর রহমান, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ এ মননি ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেড়া খারুয়া …