॥ ইউসুফ সুমন, বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
মোংলা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপরক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ “বানৌজা গোমতি” দর্শনার্থী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জনসাধারণেন জন্য উম্মুক্ত করেছে নৌবাহিনীর সদস্য।
জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত জাহাজটি দেখতে ছুটে আসেন মোংলা ও রামপাল সহ এর আশপাশ এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। দেশতে আসা অনেকের যেখানে সমুদ্রগামী জাহাজে ওঠাই হয়নি সেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ দেখার সুযোগ হাতছাড়ার প্রশ্নই আসে না।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে তাই দীর্ঘ লাইন ছিল অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজটির প্রবেশমুখে। নানা বয়সী মানুষ বিশেষ করে নারী, পুরুষ আর শিশু কিশোররা যুদ্ধজাহাজ দেখে মহাখুশি। নতুন সাহস আর প্রেরণা বুকে নিয়ে ঘরে ফেরেন তারা। মানুষের কৌতূহল আর প্রশ্নের জবাব দেন নৌবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, “বানৌজা গোমতী” নৌবাহিনীর আইল্যান্ড-শ্রেণির একটি উপকূলীয় টহল জাহাজ। এতে বেশকিছু যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযুক্ত রয়েছে। জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
জাহাজটি ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫৯.৫ মিটার, প্রস্থ ১১ মিটার, গভীরতা ৪.৫ মিটার, ওজন ১২৬০ টন এবং এটি প্রতি ঘন্টায় ৩০ দশমিক ৬ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। ‘বিএনএস গোমতী’ জাহাজটি সমুদ্র এলাকায় একটানা ৭০০০ হাজার নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারে বলে জানান তারা।
এদিকে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মোংলা নৌ অঞ্চলের সকল জাহাজ ও ঘাঁটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি নৌবাহিনী পরিচালিত নৌপরিবার শিশু নিকেতন ও নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।