॥ উত্তম সাহা, হাতিয়া প্রতিনিধি ॥
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ করোনা টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ টিকা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।জানা গেছে, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পাঠানো করোনা টিকার মেয়াদ রয়েছে নভেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত। গতকাল এই মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানুষদের দিতে দেখা গেছে।
টিকার শিশিতে মেয়াদোত্তীর্ণ লেখা দেখার পর অনেকে এই টিকা নিতে বিরত থেকেছেন। যারা ইতিমধ্যে এই টিকা নিয়েছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ জানার পর তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা আরও তিন মাস ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ নভেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়া টিকা ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত দেওয়া যাবে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, টিকার শিশিতে মেয়াদোত্তীর্ণ লেখা রয়েছে। আবার কোন জটিলতা দেখা দেয়, এই আশঙ্কায় আমি টিকা নিইনি। আমার পরিচিত আরও ১৫ জন মানুষ টিকা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। একটা চিঠির ওপর ভিত্তি করে আমি কিভাবে টিকা নেব।’
হাতিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতির সাজ্জাদ হোসেন ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। বুধবার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার জন্য হাসপাতালে গেলে মেয়াদোত্তীর্ণ জেনে তিনি টিকা নেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, টিকার শিশিতে মেয়াদোত্তীর্ণ লেখা রয়েছে। আবার কোন জটিলতা দেখা দেয়, এই আশঙ্কায় আমি টিকা নিইনি। আমার পরিচিত আরও ১৫ জন মানুষ টিকা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। একটা চিঠির ওপর ভিত্তি করে আমি কিভাবে টিকা নেব।’
সম্প্রতি হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা টিকা নিয়েছেন হাতিয়া পৌরসভার শূণ্যচর গ্রামের গৃহবধূ আমেনা আক্তার। আমেনার স্বামী সায়েদ আহমেদ বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর জানতে পারলাম, টিকার মেয়াদ নেই। এখন ভয় হচ্ছে শারীরিক কোন অসুবিধা হয় কিনা।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)
ডা. শেখ মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এই টিকা ক্ষতি হবে কিনা জানি না, তবে সরকার যেভাবে দিতে বলছে সার্কুলারে আমার সেভাবে দিচ্ছি।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন,উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান ও ঔষধ প্রশাসনের প্রশাসনের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালী সব উপজেলায় এটা পাঠানো হয়েছে। কি পরিমাণ টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এই মুহূর্তে আমি বলতে পারবো।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠি বলা হয়েছে, সরবরাহকৃত ফাইজার কোভিড-১৯ টিকা ১২ বছর ও তার বেশী বয়সী জনগোষ্ঠীর জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও উৎপাদনকারী সংস্থা পাইজারের এর অনুমোদনক্রমে টিকার মেয়াদ নভেম্বর ২০২২ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শামসুল হক বলেন, ‘উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান ও ঔষধ প্রশাসনের প্রশাসনের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। সব জেলা উপজেলায় এটা পাঠানো হয়েছে।
কি পরিমাণ টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এই মুহূর্তে আমি বলতে পারবো। কয়েকদিন হল আমি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি’। এছাড়াও হাতিয়ার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন আমাদের কাছে টিকার মেয়াদ বাড়ানোর লিখিত মন্ত্রণালয়র চিঠি দিয়েছে , এতে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।জানান। #