॥ বাবু মীর, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ॥
কুমিল্লার চান্দিনা বরইয়া কৃষ্ণপুর তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া,(৬০) পেশায় একজন দলিল লেখক, স্ত্রী ও ফ্যামিলি প্লানিং এ মাঠকর্মী, দুই মেয়ের মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছোট মেয়ে কলেজ পড়ুয়া। পরিবারের সবাই কর্ম ব্যস্ততা থাকায় বাসায় একজন কাজের লোকের প্রয়োজনে তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ১৫ বছরের একটি মেয়ে নিয়ে এসেছিলেন বাসায় কাজ করার জন্য।
দীর্ঘ আট মাস তাদের সাথে আমার স্ত্রী ফ্যামিলি প্লানিং এ চাকরি করার সুবাদে প্রায় সময় যোগাযোগ কথাবার্তা হওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ না করে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন যা মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন।
১০ দিনে ২-৩ বার টাকা চুরির অভিযোগে সেই মেয়েকে তার বাবা-মার কাছে ফেরত দিয়ে আসেন তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী। গত ১/৩/ ২০২৩ইং তারিখে ওমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। তৌহিদুল ইসলাম দেশে ফিরে জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সাত মাসের অন্তঃসত্তার দায়ে তাকে প্রধান আসামি করে কুমিল্লা বিজ্ঞ নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল ২ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আসসালামু আলাইকুম আমি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া পিতা মৃত শামসুল হক ভূঁইয়া গ্রাম কৃষ্ণপুর ডাকঘর বরইয়া কৃষ্ণপুর চান্দিনা কুমিল্লা। আমি পেশায় একজন দলিল লেখক, গত ১৭/৮/২০২২ইং তারিখে আমার বাসার কাজের জন্য আমার পার্শ্ববর্তি গ্রাম পিপুইয়া নাছির উদ্দিনের মেয়ে আখি আক্তার কে নিয়ে আসে। সে আমার বাসায় ১০-১২ দিন এর মধ্যে দুই বার অনেক টাকা চুরি করার কারণে তার বাবা মার কাছে আমার স্ত্রী ফেরত দিয়ে আসে। দীর্ঘ আট মাস তাদের সাথে আমার স্ত্রী ফ্যামিলি প্লানিং এ চাকরি করার সুবাদে প্রায় সময় যোগাযোগ কথাবার্তা হওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ না করে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন যা মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন কতিপয় অসাধুচক্রের চক্রান্তে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি মানহানি সহ সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রমহল আমার বিরুদ্ধে সব সময় অপপ্রচার সহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ এবং প্রশাসনের মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।