বুধবার , ১ মে ২০২৪

আমেরিকান রাজনীতিতে বিজনেস কর্পোরেশনের প্রভাব

॥লিটন মাহমুদ
প্রভাষক, ক্যামব্রিয়ান কলেজ, নারায়ণগঞ্জ ব্রাঞ্চ ॥

ফ্রান্সিস ফুকোয়ামা মার্কিন রাজনৈতিক দার্শনিক, The End of History and the Last Man (1992), বইতে লিবারেল ডেমোক্রেসি সম্পর্কে বলছেন, লিবারেল ডেমোক্রেসি হয়তো, মানব জাতির সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিবর্তনের সর্বশেষ সরকার রাজনৈতিক ব্যবস্থা। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মানব জাতীর ইতিহাসে এর চেয়ে উন্নত ও উৎকৃষ্ট আর কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই, ভবিষ্যতেও আসবে না।

লিবারেল ডেমোক্রেসি বা উদার গণতন্ত্র সেখানে মুক্তবাজার অর্থনীতি, মার্কেট ডিটারমিনিজম, বেসরকারিকরণ, ডিরেগুলেশন ও সরকারী হস্তক্ষেপ মুক্ত অর্থনীতির কথা বলা হয়েছে। মার্কেটে যদি সরকারী হস্তক্ষেপ না থাকে, তাহলে মাইকেল পোর্টার্স ফাইভ ফোর্সেস মডেলের অনুযায়ী ৫ টি ফোর্সই মার্কেট ম্যাকানিজম ঠিক করবে, অর্থনীতি অপারেট করবে। প্রাইভেট কর্পোরেশন গুলো মুক্তভাবে প্রতিযোগিতা করবে এবং যতটা সম্ভব ট্যারিফ, নন ট্যারিফ, এবং কর্পোরেট ট্যাক্স থেকে মুক্ত থাকবে।

এটা হল লিবারেল ডেমোক্রেসির ইকোনোমিক দিকের চরিত্র। ফ্রান্সিস ফুকোয়ামা একই সাথে নিওকন তাত্ত্বিকদের মধ্যে অন্যতম। নিওকন তাত্ত্বিকরা লিবারেল ডেমোক্রেসি শুধু নিজ দেশেই নয়, প্রয়োজনে মিলিটারি শক্তি প্রয়োগ করে অন্য দেশেও লিবারেল ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দেন। এর মানে হল- নিওকনরা মার্কিন নিও ইম্পেরিয়ালিজম বা নব্য সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বাস করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে রাজনীতিবিদদের সাথে ব্যবসায়ীদের বিরোধ আগে থেকেই ছিল, একই সাথে বিরোধ ছিল ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকদের সাথে, এই বিরোধের ফলাফল ছিলো ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকদের উপর ম্যাসাকার।

 

জনগন ভোট ঠিকই প্রদান করে, তবে সেটা কর্পোরেটদের সিলেক্টেড প্রতিনিধিদের ভোট দেয় নিজের প্রতিনিধিদের নয়। নির্বাচনের নির্বাচিত এই প্রতিনিধিরা সব সময় কর্পোরেট স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, সাধারণ জনগন থাকে উপেক্ষিত। তাই এই গণতন্ত্র মার্কিন জনগনের অধিকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে, সাধারণ জনগন সেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিনত হয়েছে।

বিজনেস ইন্টারেস্ট ও লেবার ইন্টারেস্ট যখন কনফ্লিক্টিং সিচুয়েশনে থাকে, তখন রাষ্ট্রের ভূমিকা মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭০ দশকে মার্কিন কর্পোরেশন গুলো প্রথম রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে, ঠিক তখন থেকে নিওলিবারেল বা নব্য উদারনৈতিক ধারণা বিকাশ লাভ করে। যখন থেকে মার্কিন কংগ্রেস পরিবেশ,

ভোক্তাদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিবেচনা করে ধারাবাহিক কয়েকটি আইন প্রণয়ন করে, তখন বিজনেস কর্পোরেশন গুলো এটা থামানোর জন্য যারপরনায় তৎপর হয়ে উঠে। এরপর থেকেই রাজনীতি, কর্পোরেশন গুলোর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। শক্তিশালী লবিং গ্রুপ তৈরি করা হয় এবং সে গুলোতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করার জন্য।

এভাবে ডলার এবং রাজনীতিতে ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে, মার্কিন কংগ্রেস কর্পোরেশনপন্থী হয়ে উঠে এবং শ্রমিক আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে। কোম্পানি আরো অধিক প্রয়াসে ও আগ্রাসীভাবে, রাজনীতিতে অর্থ বিনিয়োগ করতে থাকে এবং তারা পার্লামেন্ট ও রাজনীতিকে অধিক মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার মনে করে।

এভাবে মার্কিন রাজনীতিকে কর্পোরেশন গুলো অক্টোপাসেরমত আস্টেপিস্টে বেধে ফেলে। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ৮৪ শতাংশ জনগন মনে করে, কর্পোরেশন গুলোর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের ফলে সাধারণ জনগনের স্বার্থ বিঘ্নিত ও অগ্রাহ্য হচ্ছে। ৮৩ শতাংশ জনগন মনে করে করপোরশন ও এর সিইওর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে রাজনীতিতে। এক কথায় বলা যায়, মার্কিন রাজনীতির নিয়ন্ত্রক এখন কর্পোরেশন গুলো, গণতন্ত্র নামে কর্পোরেটক্রেসি শক্তিশালীভাবে অস্তিত্ববান।

আমেরিকায় লিবারেল ডেমোক্রেসি বা উদার গণতন্ত্র নামে পজিটিভ শব্দ হাজির করে, মূলত পুঁজিতন্ত্রের রাজনৈতিক কাঠামোকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই পুঁজিতন্ত্রের আধুনিক নাম হচ্ছে- কর্পোক্রেসি বা কর্পোরেটক্রেসি, যে ধারণায়, বলায় হয় যে, অর্থনীতি ও রাজনীতি কাঠামো কর্পোরেশন দ্বারা এবং কর্পোরেশনের স্বার্থে নিয়ন্ত্রিত হবে।

এটার আরেকটি নাম হল ধনিকতন্ত্র। তাহলে ধনিকতন্ত্রের উপর একটি সুন্দর আবরন দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে উদার গণতন্ত্র নামে। কর্পোরেটক্রেসি বা ধনিকতন্ত্রের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ জনগন। যারা কর্পোরেশনের বিরোধী দল বলে পরিচিত। মার্কিন নির্বাচনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে কর্পোরেশন গুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করে।

২০১৫ সালের “দ্যা আটলান্টিক” নিউজ সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে- “How Corporate Lobbyists Conquered American Democracy” শিরোনামে সেখানে বলা হয়েছে, কর্পোরেট লবি গুলো মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ২.৬ বিলিয়ন ডলার প্রতি বছরে ব্যয় করে। নির্বাচনে জনগনের চিন্তা চেতনার উপর প্রভাব বিস্তারকরে কর্পোরেট গনমাধ্যমগুলো। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগনের ভূমিকা একেবারেই গৌণ।

জনগন ভোট ঠিকই প্রদান করে, তবে সেটা কর্পোরেটদের সিলেক্টেড প্রতিনিধিদের ভোট দেয় নিজের প্রতিনিধিদের নয়। নির্বাচনের নির্বাচিত এই প্রতিনিধিরা সব সময় কর্পোরেট স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, সাধারণ জনগন থাকে উপেক্ষিত। তাই এই গণতন্ত্র মার্কিন জনগনের অধিকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে, সাধারণ জনগন সেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিনত হয়েছে।

কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীতে আরো বেশি মার্জিনালাইজড। গনতন্ত্রের যে সাধারণ সংজ্ঞা, Democracy is the form of Government, by the people, for the people, of the people। মার্কিন রাজনীতিতে গনতন্ত্রের এই ধারণা একেবারে অনুপস্থিত। কেননা সেখানে সরকার গঠন হয়, কর্পোরেশনের দ্বারা, কর্পোরেশনের জন্য, কর্পোরেট প্রভাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে, মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সিনেটর বিজনেসম্যান, ডেমোক্রেট কিংবা রিপাবলিকান দলের অনেকেই ব্যবসায়ী, শেষ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

মার্কিন রাজনীতিতে কর্পোরেট লবি যেমন শক্তিশালীভাবে বিদ্যমান, একইভাবে ইহুদী লবিও ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ইজরায়েল ও ইহুদীদের স্বার্থকে গ্রাহ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার দিতে হয়। মার্কিন রাজনীতিতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট একে অপরের বিরোধীদল হিসেবে থাকলেও মূলত এই দুই দলই কর্পোরেট লবি ও ইহুদী লবির ক্রিড়ানক ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রকৃতপক্ষে, জনগনের প্রধান বিরোধী দল হল কর্পোরেশন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট এই দলের কাজ হচ্ছে কর্পোরেশন ও ইহুদী লবির গাইড অনুযায়ী পথ চলা

১৯০২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট মার্কিন নির্বাচনে কর্পোরেশনের ডোনেশন নিষিদ্ধ করে ‘1907: Tillman Act Prohibits Corporate Donations for Federal Election Campaigns’ শিরোনামে আইন প্রণয়ন করে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ ও সতর্ক করেছেন যে, অল্প কিছু কর্পোরেশনের হাতে সমগ্র জাতীর উন্নয়ন ও সম্পদ একীভূত হচ্ছে, এবং সবকিছু গুটিকয়েক বৃহৎ কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। থিওডোর রুজভেল্ট, কত আগে এই সমস্যার সম্পর্কে সতর্ক করে গেছেন।

আজ মার্কিন রাজনীতিতে এটি সরল বাস্তবতা। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, Joseph Stiglitz বলছেন,- There has been a severe increase in market power of corporations,…..To improve the economy, it is necessary to decrease the influence of money on U.S. politics. এই জন্য বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি হচ্ছে অর্থের রাজনীতি, সেখানে অর্থই ডমিন্যান্ট ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট কোম্পানি গুলো এতো বেশী শক্তিশালী যে, অর্থ বিত্ত, শক্তি সামর্থ্যের বিবেচনায়, বিশ্বের অনেকগুলো দেশের চেয়েও শক্তিশালী, এরা চাইলে বিভিন্ন দেশ দখল করতে পারে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তনে এদের নজির রয়েছে। কর্পোরেটক্রেসি প্রচার ও প্রসারের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে আমেরিকান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠান National Endowment for Democracy (NED) এই প্রতিষ্ঠানটি নিওকন থিংকারদের দ্বারা প্রভাবিত। আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে- নিওকনরা মার্কিন নব্য সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বাসী। মার্কিন কর্পোরেশন গুলো শুধু নিজ দেশে নয়,

নিও লিবারেল পলিসি ফরেন কান্ট্রি গুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ এই দুই ভাবেই প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষভাবে বাস্তবায়ন করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার গুলোর সাথে সরাসরি বিভিন্ন চুক্তি ও এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে, আবার পরোক্ষ ভাবে প্রভাব ফেলে আমেরিকা প্রভাবিত বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ঋণ প্রদান, অনুদান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি ইত্যাদির মাধ্যমে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নীতি পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক পরিচালক ম্যারি স্লোটার এবং নিউ আমেরিকার জ্যৈষ্ঠ গবেষক আলেকজান্দ্রা স্টার্ক, আমেরিকার শাসকদের উদ্দেশ্যে বলছেন- “বাইরের যে সব দেশের গণতন্ত্র হুমকির ভেতর পড়েছে, সেসব দেশের গণতন্ত্রের পাশে দাঁড়াতে হবে” এই বক্তব্যের মাধ্যমে নিওকনদের ফরেন ইন্টারভেনশনের পক্ষেই ইন্ধন জোগানো হয়েছে। এভাবে মার্কিন অনেক তাত্ত্বিক নিওকনদের বাইরেও নিওলিবারেল পলিসি বাস্তবায়নে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে সমর্থন করে। এই সমর্থনের বৈধতা হিসেবে আমেরিকার নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।

বাস্তবতা হল, মার্কিন শাসকদের মধ্যে কোন স্থির গণতান্ত্রিক নৈতিক আদর্শবোধ নেই। সেখানে রাষ্ট্রের স্বার্থে, কর্পোরেশনের স্বার্থে, ফরেন কান্ট্রিগুলোতে যে তন্ত্র প্রয়োজন হয়, সেই তন্ত্রই বহাল তবিয়তে প্রতিষ্ঠিত রাখে। আরব রাজাদের দেশগুলোতে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত। সেখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে মার্কিনীদের ন্যাক্কার জনক অবস্থান তাদের নিজেদের প্র্যারাডক্সিক্যাল চরিত্রকে উপস্থাপন করে। মিসরের নির্বাচিত গণতান্ত্রিকদের গণহত্যা ও পুড়িয়ে মারা, ইতিহাসে তাদের এই ভূমিকা বিশ্বের জনগন কখনো ভুলে যাবে না।

লেখক, লিটন মাহমুদ, প্রভাষক, ক্যামব্রিয়ান কলেজ, নারায়ণগঞ্জ ব্রাঞ্চ

তথ্যসুত্রঃ
1. Liz Kennedy (2017) Corporate Capture Threatens Democratic Government, Center for American Progress,
2. Curtlyn Kramer (2017) “Vital Stats: The growing influence of businesspeople in Congress” Brookings.
3. Context of ‘1907: Tillman Act Prohibits Corporate Donations for Federal Election Campaigns” History Commons.
4. Richard A, Device and Michael Holmes (2017) “Money talks: Big business, political strategy and corporate involvement in US state politics” the conversation.
5. Lee. Drutmans (2015) “How corporations turned into political beasts” The Business Insider.
6. LEE DRUTMAN (2015) “How Corporate Lobbyists Conquered American Democracy” The Atlantic.
7. Cornelia Woll (2019) “Corporate Power Beyond Lobbying” American Affairs Volume III, Number 3 (Fall 2019): 38–55.
8. ম্যারি স্লটার এবং আলেক্সান্দ্রা স্টার্ক (২০২০) “ জো বাইডেনের কূটনীতি নিজের ঘর থেকেই শুরু হোক” প্রজেক্ট সিন্ডিকেট থেকে ভাষান্তর, দৈনিক প্রথম আলো।
9. Corporatocracy- en.wikipedia.org › wiki › Corporatocracy.
10. Francis Fukuyama- en.wikipedia.org › wiki › Francis_Fukuyama.
11. Liberal Democracy- en.wikipedia.org › wiki › Liberal Democracy

Check Also

রুয়েট ও আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি …