॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা। বুধবার (১৮ অক্টোবর) বেলা তিন ঘটিকার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিহত নুরু মোল্লা টের না পেয়ে বিদ্যুতায়িত ওই পানি স্পর্শ করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিদ্যুতের তার অপসারণ করতে গিয়ে তার আপন ভাতিজা শামীম মোল্লা বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন।
নিহতরা হলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নুরু মন্ডলের পাড়া গ্রামের মাছেম মোল্লার ছেলে মো. নুরু মোল্লা (৭০) ও তার ভাতিজা মো. আনোয়ার মোল্লার ছেলে মো. শামীম মোল্লা (২৮)।
নিহত শামীমের খালাতো ভাই বাকেন শেখ বলেন, নুরু মন্ডলের পাড়া এলাকায় মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত ভেকু (এক্সকেভেটর) কাজ করার সময় এক সাপ্তাহ আগে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খালের পানিতে পড়েছিল। এতে ওই খালের পুরো পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়।
বিষয়টি নিহত নুরু মোল্লা টের না পেয়ে বিদ্যুতায়িত ওই পানি স্পর্শ করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিদ্যুতের তার অপসারণ করতে গিয়ে তার আপন ভাতিজা শামীম মোল্লা বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. রহমান মন্ডল বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ম্যান লাইন থেকে তার ছিড়ে পানিতে পরেছিলো এতে পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে চাচা নিহত হন। আর ভাতিজা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরন করেন।
গোয়ালন্দ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকরামুল হাসান বলেন, ম্যান লাইন থেকে তার ছিড়ে পানিতে পড়ে রয়েছে। এ সংবাদ স্থানীয় কেও আমাদের কে অবহিত করে নাই। পাশের বালুর চাতালে মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত ভেকু (এক্সকেভেটর) তারটি ছিড়ে যেতে পারে।