॥ নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
নবাবগঞ্জের অটোরিক্সা চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, ঢাকার নবাবগঞ্জের আলোচিত অটোরিক্সা চালক হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক হত্যাকারীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। বুধবার বিকালে সংবাদকর্মীদের এমনটাই জানাচ্ছিলেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ। তিনি জানান, অটোরিকশা চালক রাকিব (২২) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
হত্যাকান্ডের বিবরণ জানিয়ে ওসি বলেন, নিহত রাকিব এবং হত্যাকারী বাঁধন ও অপর এক সহযোগী পূর্ব পরিচিতি। হত্যাকারীরা অটোচালক এবং অটো ছিনতাইকারী। হত্যাকারীদের টার্গেট ছিল রাকিবের নতুন অটো ছিনতাইয়ের।
এ হত্যাকান্ডের জড়িত থাকায় বাঁধন সরকার (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁধন উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের ছোট বক্সনগর এলাকার চৌরাহাটি গ্রামের আনন্দ সরকারের ছেলে।
হত্যাকান্ডের বিবরণ জানিয়ে ওসি বলেন, নিহত রাকিব এবং হত্যাকারী বাঁধন ও অপর এক সহযোগী পূর্ব পরিচিতি। হত্যাকারীরা অটোচালক এবং অটো ছিনতাইকারী। হত্যাকারীদের টার্গেট ছিল রাকিবের নতুন অটো ছিনতাইয়ের।
ঘটনার দিন ২৫ জানুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ৯টার দিকে রাকিবকে স্থানীয় বাগমারা বাজারে ডেকে নেয় হত্যাকারীরা। সেখান থেকে ফুঁসলিয়ে চক বালুরচর এলাকার ঐ পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাকিবকে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করা হয়। পরে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরের কচুরিপানার নিচে রেখে হত্যাকারীরা অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি সংবাদকর্মীদের জানান, ‘নতুন অটোরিক্সাই কাল হলো রাকিবের জীবনে’। গ্রেফতারকৃত হত্যাকারী বাঁধন হত্যাকান্ডের বিবরণ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে, লাশ এবং অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর সহযোগীকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা রজু হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি বুধবার থেকে অটোরিকশা চালক রাকিব রিখোঁজ ছিল। গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে বক্সনগর ইউনিয়নের চক বালুরচর এলাকার একটি পুকুরে কচুরিপানা পরিস্কার করার সময়ে শ্রমিকরা লাশ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে অবগত করেন।
নিহত রাকিবের মামা ফরহাদ কবির বলেন, রাকিব গত বুধবার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলো। পরে গত শুক্রবার নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছিল। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে রাকিবের লাশ শনাক্ত করি। নিহত রাকিব উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের যন্ত্রাইল গ্রামের মৃত মালেক ফকিরের ছেলে।