Sunday , 24 November 2024

তীব্র তাপপ্রবাহে গোয়ালন্দে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট-ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা, সর্তক থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিভাগের।

॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥

লমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়। গত ২২ দিনে ২১২ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ১১২ জন শিশু গরম জনিত কারনে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

 ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ দিনে রোগী ভর্তি হয়েছেন ২১২ জন। শিশু রোগীর সংখ্যা ১১২ জন। বর্তমানে হাসপাতালে নারী, পুরুষ, শিশু সহ মোট ৫৯জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দিন দিন গরমের তীব্রতা বাড়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। পথঘাট তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘরের বাইরে বের হয়ে কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়েছে এ তাপপ্রবাহে। অতিরিক্ত গরম থাকায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বাজার-ঘাট, মার্কেটে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই লোকজনের উপস্থিতি কমে আসছে।ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা। তাপের তীব্রতার কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গেল ঈদুল ফিতরের পর হাসপাতালগুলোতে রোগীর প্রায় দ্বিগুণ ভিড় বেড়েছে। ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ দিনে রোগী ভর্তি হয়েছেন ২১২ জন। শিশু রোগীর সংখ্যা ১১২ জন। বর্তমানে হাসপাতালে নারী, পুরুষ, শিশু সহ মোট ৫৯জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

গোয়ালন্দ বাজারের একাধিক শ্রমজীবী রিক্সা চালক বলেন, সকাল ১০টার পরে তেমন একটা যাত্রী পাওয়া যায় না। কড়া রোদের কারণে রাস্তাঘাটে যাত্রী কম। রোদের তাপ বেশি থাকায় রিক্সা ভ্যান চালানোও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। একদিকে গরমে কষ্ট অন্যদিকে তিন থেকে চারদিন ধরে যাত্রী কম থাকায় আয় কমে গেছে। এতে করে পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

আলেয়া বেগম বলেন, গরমের জন্য আমার স্বামীর শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। ফলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়েছি। হাসপাতাল থেকে ঔষধ নিয়েছি। দেখি এখন কি হয়।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, গরমে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ভর্তি ছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরা্ রোগীর সংখ্যাও অনেক। ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে হাসপাতালে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ গরমে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দিয়েছেন।

Check Also

মোংলায় জমির সিমানা নিয়ে দন্ধে নারী সহ রক্তাক্ত জখম-৮

॥  বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥ মোংলায় জমির সিমানা নিয়ে দন্ধে দুই পক্ষের নারী সহ ৮জন …