॥ ইউসুফ সুমন, বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে কয়লা বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে পশুর নদীর ডুবে চরে আটকে তলা পেটে ৮০০ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এম,ভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী।
একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে ‘এম,ভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী’ যশোরের নওয়াপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের অংশের ডুবে চরে আটকে যায় জাহাজটি।
তবে জাহাজটি পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের চরকানা এলাকার চরের অংশে ডোবায় বন্দরের মুল চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে। এসময় জাহাজটিতে থাকা ১০ নাবিক সাঁতরিয়ে কূলে উঠে যাওয়ায় প্রানে বেঁচে যান তারা।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন’মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম মিন্টু ও কার্গো জাহাজ মালিক মোঃ বশির হোসেন জানান, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে ‘এম,ভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী’ যশোরের নওয়াপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের অংশের ডুবে চরে আটকে যায় জাহাজটি।
এতে জাহাজটির তলা ফেটে গেলে জাহাজটি যথাসম্ভব বাচাতে মাস্টার দ্রুত চালিয়ে চরে উঠিয়ে দেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি জাহাজটির। ভাটায় জাহাজের সামনের ও পিছনের অংশ দেখা গেলেও মুলত জোয়ারের সময় ডুবে থাকছে বাকী বেশির ভাগ অংশই। জাহাটিতে থাকা ১২জন ষ্টাফ তাৎক্ষণিক সাতরিয়ে কুলে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ৮০০ মেট্টিক টন জ্বালানী কয়লা রয়েছে।
জাহাজ মালিক বশির হোসেন বলেন, ডুবে চরে আটকে তলা ফেটে গেলে জাহাজের মাস্টার (চালক/ড্রাইভার) দ্রুত চালিয়ে জাহাজটি চরকানার চরে উঠিয়ে দেন। এতে জাহাজসহ পরিবহন করা কয়লার বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।