শনিবার , ২৭ জুলাই ২০২৪

দোহারে পুলিশের উপস্থিতিতে বিচারে শালিশিদের উপর হামলা: আহত তিন

॥ শেখ রানা, দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

ঢাকার দোহার উপজেলায় বিচারে শালিশিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার নারিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, নারিশা আম্বুর দোকান এলাকায় আবুল কাশেম ওরফে কাশি ও তার নিজ ভাতিজা ওয়াজ উদ্দিনের সাথে গাছ কাটা নিয়ে বিচার বসে পাশের বাসা আলম খালাসির বাড়ির উঠোনে। বিচারে প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত হোন দোহার উপজেলা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব মোল্লা ও স্থানীয় মুরব্বিগন।

সেখানে কাশির পক্ষ নিয়ে বিচারে আসে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী সম্রাট মোল্লা ও তার কিশোর গ্যাং। বিচার চলাকালীন এক পর্যায়ে রজ্জব মোল্লার সাথে কথা কাটাকাটি হয় সম্রাট মোল্লার সাথে। উগ্র মেজাজে রজ্জব মোল্লার সাথে খারাপ আচরনও করেন সম্রাট। তখন রাগ হয়ে বিচার ছেড়ে চলে যান রজ্জব মোল্লা।

 

 

হঠাৎ বিচারের শেষ দিকে সম্রাট রজ্জব মোল্লার উপর চড়াও হয়ে উঠলে পরিস্থিতি একটু গরম হয়ে পরে। রজ্জব মোল্লা চলে যাওয়ার পরেই সম্রাটের সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ করে সাংবাদিক আতাউর সানির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে তার উপর হামলার চেষ্টা করে,

বিচারে উপস্থিত দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আতাউর রহমান সানি হাতে মোবাইল নিয়ে নিউজ দেখছিলেন। ভিডিও করছে মনে করে তখন সম্রাট মোল্লা ও তার কিশোর গ্যাং এর লোকজন সাংবাদিক আতাউর সানির কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।

তখন পরিস্থতি গরম হয়ে পড়লে উপস্থিত ওয়াজ উদ্দিনের আরেক চাচাতো ভাই সাপ্তাহিক নববাংলার প্রকাশক বিল্লাল হোসেন সাংবাদিককে রক্ষা করতে এলে তার উপর হামলা করে সম্রাট ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। তখন বিল্লাল হোসেনকে রক্ষা করতে তার মা ও চাচাতো ভাই ফারুক এগিয়ে এলে তাদেরও মেরে রক্তাক্ত করে আহত করে সম্রাট বাহিনী।

আর এসব ঘটনা ঘটে সেখানে উপস্থিত থাকা দোহার থানার সদস্য এসআই দেলোয়ারের সামনেই। এ হামলার ঘটনা নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন এসআই। পরে উর্ধতন অফিসারের নির্দেশে সাংবাদিকের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে দেন তিনি।

এ বিষয়ে আহত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার চাচা কাশির সাথে আব্দুল মান্নার চাচার ছেলে ওয়াজ উদ্দিনের সাথে গাছ কাটার বিষয় নিয়ে আজকে বিচার হচ্ছিলো।

হঠাৎ বিচারের শেষ দিকে সম্রাট রজ্জব মোল্লার উপর চড়াও হয়ে উঠলে পরিস্থিতি একটু গরম হয়ে পরে। রজ্জব মোল্লা চলে যাওয়ার পরেই সম্রাটের সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ করে সাংবাদিক আতাউর সানির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে তার উপর হামলার চেষ্টা করে,

আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে আমার উপরও হামলা করে আমাকে রক্তাক্ত করে ফলে ওরা। এমনকি আমার বৃদ্ধ মা ও চাচাতো ভাই ফারুক এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করে রক্তাক্ত করে ফেলে । বিচারে আমিও একজন বিচারক হিসেবেই উপস্থিত ছিলাম।

এ বিষয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত এসআই দেলোয়ার জানান, অভিযোগটা আমার কাছে ছিলো। তারা স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টা মিমাংসা করবে বলে আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই। বিচারের সিদ্ধান্ত সম্রাট মোল্লা না মেনে রজ্জব মোল্লার সাথে বেয়াদবি করে। তখন রজ্জব মোল্লা চলে যায়।

সেখানে সাংবাদিক সানি ভাই মোবাইল হাতে নিলে সম্রাটের লোকজন তার উপর ও বিল্লাল হোসেনের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। আমি ফেরানোর চেষ্টা করেছি। আমি একা ছিলাম। সাংবাদিক সানি ভাইর কিছু হয়নি, তাকে সেভ করা হয়েছে কিন্তু বিল্লাল হোসেন আহত হয়েছে। সম্রাট একটি বেয়াদব ছেলে। পরে আমি সাংবাদিককে ফোনটি উদ্ধার করে দিয়েছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব মোল্লার বলেন, সম্রাট মোল্লা এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ওর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আজকে ছোট একটা ঘটনা নিয়ে পক্ষ পাতিত্ব করে হামলা ও মারধর করেছে সে। এ ঘটনায় সম্রাটের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

অভিযুক্ত সম্রাটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। দোহার থানার ওসি তদন্ত আজহারুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Check Also

গোয়ালন্দে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত।

॥  আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥ পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া খানকা শরীফ …