॥ এম আরিফুল ইসলাম, সলংগা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষায় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আজ শনিবার (২৭এপ্রিল) সকাল ১১টায় সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বসাধারণের আয়োজনে এই বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়েছে।তাই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি কামনায় বিশেষ দোয়া করেন তৌহিদী জনতা। নামাজে অংশ নেওয়া আলেমগণ বলেন এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) লোকদের নিয়ে ইসতিসকার (বৃষ্টিপ্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন।
নামাজে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ মালশাপাড়া কবস্থান সংলগ্ন কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক মুহতামীম আলহাজ্ব মাওলানা মুফতী আব্দুর রউফ সাহেব।
এসময় আগত মুসল্লীদের মাঝে বিশেষ নসিহত পেশ করেন সলঙ্গা নুরানি বিজ্ঞান মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, সলঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ আব্দুল গফুর সাহেব।
এই বিশেষ নামাজে আলেম-ওলামা, সাংবাদিক,শিক্ষক,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। চলমান তীব্র তাপদাহ বৃষ্টি না হওয়ায় সারা দেশের ন্যায় সলঙ্গায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে উৎপাদিত ফসলাদি ঝরে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
তাই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি কামনায় বিশেষ দোয়া করেন তৌহিদী জনতা। নামাজে অংশ নেওয়া আলেমগণ বলেন এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) লোকদের নিয়ে ইসতিসকার (বৃষ্টিপ্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন।
বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী রসুল (সা.)-এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি এবং আল্লাহই একমাত্র বৃষ্টি দেওয়ার মালিক। তার কাছেই আমরা বৃষ্টি চেয়ে নতজানু হয়েছি। উল্লেখ্য, তীব্র তাপপ্রবাহ অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনসহ প্রাণীকুল অতিষ্ঠ, ব্যাঘাত ঘটিয়েছে কর্মজীবী মানুষের জীবনযাত্রায়।